রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:১৭

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার আর নেই

বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার আর নেই

dynamic-sidebar

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী এম কে আনোয়ার মারা গেছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, সোমবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার নিজের এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়।
এম কে আনোয়ারের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন।
অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন তাকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও অংশ নিতে দেখা যায়নি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সকাল ১০টায় কাঁটাবন মসজিদে, বেলা ১২টায় নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে, জোহরের পর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এম কে আনোয়ারের জানাজা হবে।
পরে এই বিএনপি নেতার মরদেহ রাখা হবে বারডেম হাসপাতালে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলে বুধবার কুমিল্লার হোমনায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান।
স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন এম কে আনোয়ার। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকেই গভীর রাতে তার বাসায় ছুটে যান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকালে এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এমকে আনোয়ারের পুরো নাম মোহাম্মদ খোরশেদ আনোয়ার; ১৯৩৩ সালে কুমিল্লায় দেবীদ্বারে তার জন্ম।
পাকিস্তান আমলে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশেও প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন এমকে আনোয়ার। সরকারের অর্থ সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বও তিনি পালন করেন।
১৯৯০ সালে অবসরের পর এম কে আনোয়ার রাজনীতির মাঠে নামেন, যোগ দেন বিএনপিতে। কুমিল্লার হোমনা আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
এম কে আনোয়ার খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকারে দুই দফা মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে তিনি কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে নাশকতা, সাম্প্রদায়িক উসকানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বহু মামলা হয় দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে। এম কে আনোয়ারও তার অনেকগুলোর আসামি।
সেই প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এই সরকারের আমলে মিথ্যা মামলায় কারাভোগের সময়ে স্যার বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হন।”
এম কে আনোয়ারের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, এম শামসুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net